মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন
বগুড়া প্রতিনিধি:: বগুড়ার ধুনটে এক শিশুকে গণধর্ষণের পর হত্যার দায়ে চার যুবকের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২। মাত্র ১১ মাসে বিচার কাজ শেষ করে রায় ঘোষনা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
রোববার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১২ টার দিকে জনাকীর্ণ আদালতে আসামি ও বাদী পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বগুড়ার ধুনট উপজেলার নছরতপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে বাপ্পী আহম্মেদ, দলিল উদ্দিনের ছেলে কামাল পাশা, ছানোয়ার হোসেনের ছেলে শামিম রেজা ও মৃত সাহেব আলীর ছেলে লাভলু শেখ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী ধুনট থানার নছরতপুর গ্রামে বেলাল হোসেন ও তার স্ত্রী মরিয়ম ডেইজি গার্মেন্টস কর্মী হওয়ায় ঢাকায় বসবাস করেন। তাদের একমাত্র শিশু কন্যা মাহি উম্মে তাবাছুম (৭) গ্রামে দাদা-দাদীর কাছে থাকতো। গত ২০২০ সালে ১৪ ডিসেম্বর রাতে বাদীর পরিবারের সবাই নছরতপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে ওয়াজ মাহফিলে অংশ নিতে যান। রাত ১০ টার দিকে বাদীর মেয়ে ওয়াজ মাহফিল থেকে দোকানে মিস্টি কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। রাত দেড় টার দিকে গ্রামের একটি বাঁশ ঝাড়ে মাহি উম্মে তাবাছুমের মরদেহ পাওয়া যায়। পরদিন ধুনট থানায় বেলাল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তকালে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দীতে মাহি উম্মে তাবাছুম নামের ওই শিশুকে গণধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করেন। ধুনট থানার তৎকালিন পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) জাহিদুল হক মামলাটি তদন্ত শেষে ২১ সালে ২৫ নভেম্বর আদালতে ৪ জনের নামে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর স্পেশাল পিপি আশেকুর রহমান বলেন, বিচারক রায়-এ আসামিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু কার্যকর ছাড়াও প্রত্যেকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন। তিনি আরো বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করায় বাদী পক্ষ খুশি।